পরিশিষ্ট – হাসান
একাকি রাজপথে নিঃসঙ্গ পথচলা
পথের অন্তরালে তুমি আর তোমার ছায়া;
নিস্তব্ধ দ্রোহের মায়াজালে
শূন্যতার প্রতিশ্রুতি তুমি
অন্ধকার, চারিদিকে অন্ধকার।
চারুশিল্পের অস্পৃশ্য ছোঁয়ায়
সিক্ত হৃদয় আমার;
ধ্রুপদী নৃত্যের মায়াবি আঘাতে
ঝরে পরছে ছেলেবেলার স্বপ্নগুলো
আর তারি সাথে তুমিও।
তোমায় লেখা শেষ চিঠিটি
সময়ের বিড়ম্বনায় অসমাপ্তই রয়ে গেলো
তাই বিবর্তনের মাঝেও অসম্পূর্ণ আজ
এই ‘আমি’।
This is default featured slide 1 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.
This is default featured slide 2 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.
This is default featured slide 3 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.
This is default featured slide 4 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.
This is default featured slide 5 title
Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.
বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬
আসরের কবিদের সেরা একটা কবিতা
শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১৬
mohammad jobyead
i am mohammad jobyead.i would like to playing with html,css,htmlx etc.also i like to arrange and post in blog.i am a student of ssc in science group.i have an ambition and it is an programer.
মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০১৬
অনন্ত প্রেম
অনন্ত প্রেম
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শতবার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার–
কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার
জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যথা,
অতি পুরাতন বিরহমিলন কথা,
অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে দেখা দেয় অবশেষে
কালের তিমিররজনী ভেদিয়া তোমারি মুরতি এসে
চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।
আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগলপ্রেমের স্রোতে
অনাদি কালের হৃদয়-উৎস হতে।
আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা কোটি প্রেমিকের মাঝে
বিরহবিধুর নয়নসলিলে, মিলনমধুর লাজে–
পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।
আজি সেই চির-দিবসের প্রেম অবসান লভিয়াছে,
রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে।
নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ, নিখিল প্রাণের প্রীতি,
একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে সকল প্রেমের স্মৃতি–
সকল কালের সকল কবির গীতি।
মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০১৬
পুত্রের প্রধান শিক্ষককে আব্রাহাম লিংকনের লেখা চিঠি
মাননীয় মহাশয়,
আমার পুত্রকে জ্ঞানার্জনের জন্য আপনার কাছে প্রেরণ
করলাম। তাকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন- এটাই
আপনার কাছে আমার বিশেষ দাবি।
আমার পুত্রকে অবশ্যই শেখাবেন – সব মানুষই ন্যায়পরায়ণ নয়, সব
মানুষই সত্যনিষ্ঠ নয়। তাকে এও শেখাবেন প্রত্যেক বদমায়েশের
মাঝেও একজন বীর থাকতে পারে, প্রত্যেক স্বার্থবান
রাজনীতিকের মাঝেও একজন নিঃস্বার্থ নেতা থাকে। তাকে
শেখাবেন পাঁচটি ডলার কুড়িয়ে পাওয়ার চেয়ে একটি
উপার্জিত ডলার অধিক মূল্যবান। এও তাকে শেখাবেন,
কিভাবে পরাজয়কে মেনে নিতে হয় এবং কিভাবে
বিজয়োল্লাস উপভোগ করতে হয়। হিংসা থেকে দূরে থাকার
শিক্ষাও তাকে দিবেন। যদি পারেন নীরব হাসির গোপন
সৌন্দর্য তাকে শেখাবেন। সে যেন আগেভাগেই এ কথা বুঝতে
পারে- যারা পীড়নকারী তাদেরই সহজে কাবু করা যায়। বইয়ের
মাঝে কি রহস্য আছে তাও তাকে বুঝতে শেখাবেন। আমার
পুত্রকে শেখাবেন – বিদ্যালয়ে নকল করার চেয়ে অকৃতকার্য
হওয়া অনেক বেশী সম্মানজনক। নিজের উপর তার যেন সুমহান
আস্থা থাকে। এমনকি সবাই যদি সেটাকে ভুলও মনে করে।
তাকে শেখাবেন, ভদ্রলোকের প্রতি ভদ্র আচরণ করতে,
কঠোরদের প্রতি কঠোর হতে। আমার পুত্র যেন এ শক্তি পায়-
হুজুগে মাতাল জনতার পদাঙ্ক অনুসরণ না করার। সে যেন সবার
কথা শোনে এবং তা সত্যের পর্দায় ছেঁকে যেন ভালোটাই শুধু
গ্রহণ করে- এ শিক্ষাও তাকে দিবেন।
সে যেন শিখে দুঃখের মাঝে কীভাবে হাসতে হয়। আবার
কান্নার মাঝে লজ্জা নেই একথা তাকে বুঝতে শেখাবেন।
যারা নির্দয়, নির্মম তাদের সে যেন ঘৃণা করতে শেখে। আর
অতিরিক্ত আরাম-আয়েশ থেকে সাবধান থাকে।
আমার পুত্রের প্রতি সদয় আচরণ করবেন কিন্তু সোহাগ করবেন
না। কেননা আগুনে পুড়েই ইস্পাত খাঁটি হয়। আমার সন্তানের
যেন অধৈর্য হওয়ার সাহস না থাকে, থাকে যেন সাহসী হওয়ার
ধৈর্য। তাকে এ শিক্ষাও দিবেন- নিজের প্রতি তার যেন
সুমহান আস্থা থাকে আর তখনই তার সুমহান আস্থা থাকবে
মানবজাতির প্রতি।
ইতি
আপনার বিশ্বস্ত আব্রাহাম লিংকন।
রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১৬
স্বপ্ন দেখাও তুমি
আমি খোলা জানালা
তুমি ওই দখিনা বাতাস
আমি নিঝুম রাত
তুমি কোজাগরি আকাশ ।।
উধাও সাগর তুমি অঢেল নীলে
আমি অস্তরাগ শেষ বিকেলে
তুমি কথা না রাখা নিরালা দুপুর
আমি বিমনা অবকাশ ।।
শুধুই ছবি আমি ধুলোয় ঢাকা
তুমি চলমান সুর স্বপ্ন মাখা
তুমি কাছে না থাকা খেয়ালী সুদুর
আমি বিরহী ইতিহাস
আমি খোলা জানালা
তুমি ওই দখিনা বাতাস
আমি নিঝুম রাত
তুমি কোজাগরি আকাশ
বুধবার, ২ মার্চ, ২০১৬
পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে
পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে - মহীনের ঘোড়াগুলি
(Prithibita Naki Choto Hote Hote - Mohiner
Ghoraguli)
পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে,
স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে,
ড্রয়িংরুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দী...
ঘরে বসে সারা দুনিয়ার সাথে,
যোগাযোগ আজ হাতের মুঠোতে,
ঘুচে গেছে বেশ কাল সীমানার গন্ডি...
ভেবে দেখেছো কী,
তারারাও যত আলোকবর্ষ দূরে,
তারো দূরে,
তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে..
সারি সারি মুখ আসে আর যায়,
নেশাতুর চোখ টিভি পর্দায়,
পোকামাকড়ের আগুনের সাথে সন্ধি...
পাশাপাশি বসে একসাথে দেখা,
একসাথে নয় আসলে যে একা,
তোমার আমার ভাড়াটের নয়া ফন্দি...
ভেবে দেখেছো কী,
তারারাও যত আলোকবর্ষ দূরে,
তারো দূরে,
তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে..
স্বপ্ন বেচার চোরাকারবার,
জায়গাতো তো নেই তোমার আমার,
চোখ ধাঁধানোর এই খেলা শুধু বঙ্গী...
তার চেয়ে এসো খোলা জানালায়,
পথ ভুল করে কোন রাস্তায়,
হয়তো পেলেও পেতে পারি আরো সঙ্গী...
ভেবে দেখেছো কী,
তারারাও যত আলোকবর্ষ দূরে,
তারো দূরে,
তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে..
বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
কেমনে ভুলিবো
কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া
আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা
সখী লো আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা।।
না আসিলে কালো ভ্রমর , কে হবে যৌবনের দোসর
সে বিনে মোর শুন্য বাসর , আমি জিয়ন্তে মরা
আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা
সখী লো আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা।।
কূলমানের আশা ছেড়ে, মন প্রান দিয়াছি যারে।
এখন সে কাঁদায়া মারে , একি তার প্রেমের ধারা
আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা
সখী লো আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা।।
আসার পথে চেয়ে থাকি , যারে পাইলে হবো সুখি।
এ করিমের মরণ বাতি হইলো না অঝোরধারা
আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা
সখী লো আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা।।
রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
লিখব না
দিয়েছিলে যা, নিয়ে নিতে পারো
লেখা কবিতা, গাওয়া গান যত
খুঁজে দেখ না, পাবে না কেউ আমার মত
মুছে দিও না শুধু হৃদয় ক্ষত
গাইবো না আর কোন গান তোমায় ছাড়া
লিখবো না আমি আর তুমি হীনা কবিতা ।।
নিজেকে আমি বুঝিনি কখনো
ছিলেনা যখন আসনি তখনও
এলে সেখানে, অজানা যা ছিল মন
আমার মাঝে আজ আমি আলোকিত
গাইবো না আর কোন গান তোমায় ছাড়া
লিখবো না আমি আর তুমি হীনা কবিতা ।।
arthohin band
sumon
তোমার মাঝে নামব আমি
তোমার মাঝে নামব আমি
তোমার ভেতর ডুব
তোমার মাঝেই কাটবো সাঁতার
ভাসব আমি খুব
তোমার মাঝেই জীবন যাপন
স্বপ্ন দেখা স্বপ্ন ভাঙ্গা
সারা নিশি ভিজবো দুজন
চাঁদের ঝরা জলে
সবুজ সুখে করব কুজন
নীল আকাশের তলে
পাঁজর দিয়ে আগলে রব
তোমায় সারা জীবন
সূর্য ছোঁবে রাতের অধর
ঝরবে নরম আলো
নামবো তোমার চোখের ভেতর
বাসবো অনেক ভাল
মনের সবুজ সুতো দিয়ে
বুনবো অনেক স্বপন
তুমি বিনে আকুল পরান
তুমি বিনে আকুল পরান, তুমি বিনে আকুল পরান, থাকতে চায়না ঘরেরে
সোনা বন্ধু ভুইলনা আমারে
আমি এই মিনতি করিরে, এই মিনতি করিরে, সোনা বন্ধু ভুইলনা আমারে
সাগরে ভাসাইয়া কুলমান, তোমারে সফিয়া দিলাম আমার দেহ মন প্রাণ
সাগরে ভাসাইয়া কুলমান, তোমারে সফিয়া দিলাম আমার দেহ মন প্রাণ
সর্বশোধন করিলাম দান , তোমার চরমের তোরে
সোনা বন্ধু ভুইলনা আমারে
আমারে ছাড়িয়া যদি যাও, প্রতিক্ষা করিয়া বল আমার মাথা খাও
তুমি যদি আমায় কাঁদাও, তুমি যদি আমায় কাঁদাও, তোমার কান্দন পড়েরে
কুলমান গেলে ক্ষতি নাই আমার, তুমি বিনে প্রাণ বাচেনা কি করব আর
কুলমান গেলে ক্ষতি নাই আমার, তুমি বিনে প্রাণ বাচেনা কি করব আর
তোমারো প্রেম সাগরে, প্রেম সাগরে তোমার তরী যে ডুবে মরে
সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
দূর থেকেও
কত কথা না বলেও হয়েছে বলা
তবু কিছু রয়ে গেছে চোখের ভাষায়
আর আমি পারিনি বলতে তোমায়
দিন গুলো কেটে গেছে ভালোবাসায়
হয়তো হবেনা বলা কোনদিন তোমায়
যদি যাই হারিয়ে বহুদুর অজানায় (x২)
দূর থেকেও আমি বাসতে পারি ভালো
তবু কাছের তোমায় লাগে অন্য রকম
ভালো লাগার শুরুটা বুঝি এভাবেই
ভালোবাসা তাই তোমাকেই প্রথম
হয়তো হবেনা বলা কোনদিন তোমায়
যদি যাই হারিয়ে বহুদুর অজানায় (x২)
এখনো আমি তোমাকে ভেবেই দেখি
না দেখা সেই স্বপ্নের আকাশ
আর যখন পারিনা বুঝতে তোমায়
মৌনতায় নেমে আসে দীর্ঘশ্বাস
হয়তো হবেনা বলা কোনদিন তোমায়
যদি যাই হারিয়ে বহুদুর অজানায় (x২)
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে।
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে লুটিয়ে যায় ধুলায় রে।।
ও যে আমায় ঘরের বাহির করে, পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে
মরি হায় হায় রে।
ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে; যায় রে কোন্ চুলায় রে।
ও যে কোন্ বাঁকে কী ধন দেখাবে, কোন্খানে কী দায় ঠেকাবে–
কোথায় গিয়ে শেষ মেলে যে ভেবেই না কুলায় রে।।
শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
৪০ টি ভাষায় ভালোবাসা
প্রেম নিবেদন করুন ৪০ টি ভাষায়। যা আগে কেউ কখনও
করেনি।
বাংলা-আমি তোমাকে ভালবাসি।
ইংরেজি-আই লাভ ইউ।
ইতালিয়ান-তি আমো।
রাশিয়ান-ইয়া তেবয়া লিউবিউ।
কোরিয়ান-তাঙশিনুল সারাঙ হা ইয়ো।
কানাডা-নানু নিনানু প্রীতিসুথিন।
জার্মান-ইস লিবে দিস।
রাখাইন-অ্যাঁই সাঁইতে।
ক্যাম্বোডিয়ান-বোন স্রো লানহউন।
ফার্সি-দুস্তাত দারাম।
তিউনিশিয়া-হাকে বাক।
ফিলিপিনো-ইনবিগ কিটা।
লাতিন-তে আমো।
আইরিশ-তাইম ইনগ্রা লিত।
ফ্রেঞ্চ-ইয়ে তাইমে।
ডাচ-ইক হু ভ্যান ইউ।
অসমিয়া-মুই তোমাকে ভাল পাও।
জুলু-মেনা তান্দা উইনা।
তুর্কি-সেনি সেভিউর ম।
মহেলি-মহে পেন্দা।
তামিল-নান উন্নাই কাদালিকিয়েন।
সহেলি-নাকু পেন্দা।
ইরানি-মাহ্ন দুস্তাহ দোহ্রাহম।
হিব্রু-আনি ওহেব ওটচে (মেয়েকে ছেলে), আওটাচ (ছেলেকে
মেয়ে)।
গুজরাটি-হু তানে প্রেম কার ছু।
চেক-মিলুই তে।
পোলিশ-কোচাম গিয়ে।
পর্তুগীজ-ইউ আমু তে।
বসনিয়ান-ভলমি তে।
তিউনেশিয়ান-হা এহ বাদ।
হাওয়াই-আলোহা ওয়াই লা ওই।
আলবেনিয়া-তে দুয়া।
লিথুলিয়ান-তাভ মায়লিউ।
চাইনিজ-ওউ আই নি।
তাইওয়ান-গাউয়া আই লি।
পার্শিয়ান-তোর ডোস্ট ডারাম।
মালয়শিয়ান-সায়া চিনতা কামু।
তথ্যসূত্র- 'অসাধারণ জ্ঞান' (লেখক-স্বরূপ দত্ত, পার্থ
প্রতিম চন্দ্র)
শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
কেন পিড়িতি বাড়াইলা রে বন্ধু
কেন পিড়িতি বাড়াইলা রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেমনে রাখিব তর মন
আমার আপন ঘরে বাদী রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
পাড়া পড়শী বাদী আমার
বাদী কালন নদী
মরম- জ্বালা সইতে না ’রি
দিবানিশি কাঁদি রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কারে কি বলিব আমি
নিজে অপরাধী
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
বহাইলাম নদী রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
বাউল আব্দুল করিম বলে
হল এ কী ব্যাধি
তুমি বিনে এ ভুবনে
কে আছে ঔষধি রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেন পিড়িতি বাড়াইলা রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন
আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন
কপোলের কালো তিল পড়বে চোখে
ফুটবে যখন ফুল বকুল শাঁখে
ভ্রমর যে এসেছিলো জানবে লোকে।
(কি বলছেন আপনি
বুঝতে পারছো না)
মনটি তোমার কেন দুরুদুরু কাঁপছে
মনের মানুষ
কি গো চেনা চেনা লাগছে
তুমি কি তারে কাছে ডাকবে
হৃদয়ের কাছে সে রয় অলোকে
হঠাৎ যখন তুমি দেখবে তাকে
শরমে নয়ন কি গো রাখবে ঢেকে।।
(কিছু বলছো না যে
কি বলবো)
জানিনা এখন তুমি কার কথা ভাবছো
আনমনে কার ছবি চুপিচুপি আঁকছো
তুমি কি তারে ভালোবাসবে
ধরা যদি দেয় সে একপলকে
দেখবে যখন তারে অবাক চোখে
দু’হাতে নয়ন কি গো রাখবে ঢেকে।।
বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
আয় খুখু আয়
কাটেনা সময় যখন আর কিছুতে
বন্ধুর টেলিফোনে মন বসে না
জানালার গ্রীলটাতে ঠেকাই মাথা
মনে হয় বাবার মত কেউ বলে না
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার সাথে গান গেয়ে যা
নতুন নতুন সুর নে শিখে নে
কিছুই যখন ভাল লাগবে না তোর
পিয়ানোয় বসে তুই বাজাবিরে
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।
সিনেমা যখন চোখে জ্বালা ধরায়
গরম কফির মজা জুড়িয়ে যায়
কবিতার বইগুলো ছুঁড়ে ফেলি
মনে হয় বাবা যদি বলতো আমায়
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার সাথে আয় এখনি
কোথাও ঘুরে আসি শহর ছেড়ে
ছেলেবেলার মত বায়না করে
কাজ থেকে নেনা তুই আমায় কেড়ে
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।
দোকানে যখন আসি সাজবো বলে
খোঁপাটা বেঁধে নেই ঠাণ্ডা হাওয়ায়
আরশিতে যখনই চোখ পড়ে যায়
মনে হয় বাবা যেন বলছে আমায়
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার কাছে আয় মামনি
সবার আগে আমি দেখি তোকে
দেখি কেমন খোঁপা বেঁধেছিস তুই
কেমন কাজল দিলি কালো চোখে
আয় খুকু আয় খুকু আয় ।
ছেলেবেলার দিন ফেলে এসে
সবাই আমার মত বড় হয়ে যায়
জানিনা কজনে আমার মতন
মিষ্টি সে পিছু ডাক শুনতে যে পায়
আয় খুকু আয় খুকু আয়
আয়রে আমার পাশে আয় মামনি
এ হাতটা ভাল করে ধর এখনি
হারানো সেদিনে চল চলে যাই ♫♫।
ছোট্ট বেলা তোর্ কেড়ে আনি
বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই, আজ আর নেই।
নিখিলেশ প্যারিসে মইদুল ঢাকাতে নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্র্যান্ডের গীটারিস্ট গোয়ানিজ ডিসুদা ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালোবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে পাগলা গারদে আছে রমা
রায়
অমলটা ধুঁকছে দুরন্ত ক্যান্সারে জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়।।
সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে, শুনেছি যে লাখপতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগাগোড়া মোরা সে, বাড়ি-গাড়ী সবকিছু দামী তার
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ সান্যাল বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকত,
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক শ্রোতা হয়ে দি সুজাটা বসে শুধু থাকত।।
একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘন্টা চারমিনার ঠোঁটে জ্বলত
কখনো বিষ্ণু দে কখনো যামিনী রায় এই নিয়ে তর্কটা চলত
রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম
চারটেতে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম।।
কবি কবি চেহারা কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতা তার হলো না কোথাও ছাপা পেল না সে প্রতিভার দামটা
অফিসে সোস্যালে ম্যামেচার নাটকে রমা রম অভিনয় করত
কাগজের রিপোর্টার মইদুল এসে রোজ কি লিখেছে তাই শুধু পড়ত।।
সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে, সাতটা পেয়ালা আজও খালি
নেই
একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুঁড়ি শুধু সেই সেদিনের মালী নেই
কত স্বপ্নের রোদ ওঠে এই কফি হাউজে কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কতজন এলো গেল কতজনই আসবে কফি হাউজটা শুধু থেকে যায়।।
শিল্পীঃ মান্না দে
সুরকারঃ সুপর্ণ কান্তি ঘোষ
গীতিকারঃ গৌরী প্রসন্ন মজুমদার
ভালোবাসার অপর নাম মা
পথের ক্লান্তি ভুলে, স্নেহভরা কোলে তব,
মা-গো, বলো কবে শীতল হবো
কত দূর, আর কত দূর, বলো মা।।
আঁধারের ভ্রুকুটিতে ভয় নাই,
মাগো তোমার চরনে জানি পাবো ঠাঁই।
আর আঁধারের ভ্রুকুটিতে ভয় নাই,
মাগো তোমার চরনে জানি পাবো ঠাঁই।
যদি এ পথ চলিতে কাঁটা বিঁধে পায়,
হাসি মুখে সে বেদনা সবো।
কত দূর আর কত দূর বলো মা।।
চিরদিনই মাগো তব করুনায়,
ঘরছাড়া প্রেম দিশা খুঁজে পায়।
ওই আকাশে যদি মা কভু ওঠে ঝড়,
সে আঘাত বুকে পেতে লব।
কত দূর আর কত দূর বলো মা।।
যতই দুঃখ তুমি দেবে দাও,
তবু জানি কোলে শেষে তুমি টেনে নাও।
মাগো, যতই দুঃখ তুমি দেবে দাও,
তবু জানি কোলে শেষে তুমি টেনে নাও।
মাগো তুমি ছাড়া এ আঁধারে গতি নাই,
তোমায় কেমনে ভুলে রবো।
কত দূর আর কত দূর বলো মা।।
প্রেমের ছোট পরিচ্ছেদ
আর তুমি স্বাতীর মতন
রূপের বিচিত্র বাতি নিয়ে এলে, — তাই প্রেম ধুলায় কাঁটায় যেইখানে
মৃত হয়ে পড়ে ছিল পৃথিবীর শূণ্য পথে সে গভীর শিহরণ,
তুমি সখী, ডুবে যাবে মুহূর্তেই রোমহর্ষে — অনিবার অরুণের ম্লানে
জানি আমি; প্রেম যে তবুও প্রেম; স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে রবে, বাঁচিতে সে
জানে।